উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যায় পাহাড়ি ৪টি নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেরপুরে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পানিবন্দি হাজারও পরিবার।
নদীর পানি কমলেও ঢলের পানি যেদিক দিয়ে নেমে যাচ্ছে সেসব অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজারেরও বেশি। এতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ও মৎস্যচাষীদের। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে রোদ ওঠায় এবং বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি কমে আসছে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে জেলার পাঁচটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, আজ সোমবারের মধ্যে সব নদীর পানি কমবে, উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতির।