জাতিসংঘে উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আজ (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানান, বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্য পীড়িত অবস্থায় জীবনযাপন করছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির পাশাপাশি যুদ্ধবিগ্রহে জড়িত হয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোতে দারিদ্র্যের এই মাত্রা তিনগুণেরও বেশি। ২০১০ সাল থেকে ইউএনডিপি এবং ওপিএইচআই এই বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক প্রকাশ করে আসছে। এই সূচকে বিশ্বের ১১২টি দেশের ৬৩০ কোটি জনসংখ্যার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আবাসন, পয়নিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, রান্নার জন্য জ্বালানি, পুষ্টি ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতির বিষয়গুলো এই তথ্য বিশ্লেষণে নির্ধারক বা সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনডিপির প্রধান পরিসংখ্যানবিদ ইয়ানচান ঝাং বলেন, ‘এই দারিদ্র্য সূচকটিতে দেখানো হয়েছে ১১০ কোটি লোক চরম বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সীমায় অবস্থান করছে যার মধ্যে সাড়ে ৪৫ কোটি লোক সংঘাতপূর্ণ অবস্থার শিকার।’
আজ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ১৮ বছর বয়সের নিচে প্রায় সাড়ে ৫৮ কোটি লোক চরম দারিদ্র্যের শিকার। আর এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৮ ভাগ।
প্রতিবেদনে বলা হয় ৮৩.২ শতাংশ দারিদ্র্য পীড়িত লোকের বসবাস সাব-সাহারা আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে। দেশের হিসাব অনুসারে ভারতে সবচেয়ে বেশি চরম দরিদ্র মানুষ বাস করছে। দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। এর পরে অবস্থান করছে পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো। এই পাঁচটি দেশেই বিশ্বের ১১০ কোটি চরম দারিদ্র্য পীড়িত জনসংখ্যার অর্ধেক লোকের বসবাস।