ঢাকাসংবাদ সারাদেশ

ঢাকা ও রাজশাহীর মেধাবী কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সাফল্য উদযাপন

মোহনা অনলাইন

ঢাকা এবং রাজশাহীর মেধাবী কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সাফল্য অর্জন উদযাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে নারী মৈত্রী এবং সচেতন সোসাইটির বাস্তবায়নে, এডুকো বাংলাদেশ এবং চাইল্ড ফান্ড কোরিয়ার সহযোগিতায় এতে সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি। প্রধান অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচালক (প্রশাসন) এম এ আখের, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সচেতন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো: হাসিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, এডুকো বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক আব্দুর রহিম সহ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, কোচ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, ইয়ং ট্যালেন্ট, অভিভাবক, এডুকো বাংলাদেশ, নারী মৈত্রী এবং সচেতন সোসাইটির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভাপতি শাহীন আকতার ডলি বলেন, আজকের এ আয়োজন প্রতিভাবান কিশোর-কিশোরীদের এক অনন্য মঞ্চ। যেখানে তারা তাদের মেধা ও সাফল্যের গল্প শোনাবে। অথচ ১ বছর পূর্বেই এডুকো বাংলাদেশ এর সহায়তায় ৬১ জন কিশোর-কিশোরী ও যুবদের স্বপ্ন পূরণে সাপোর্টিং ট্যালেন্টেড অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ টু রিইনফোর্স দেয়ার স্কিলস (স্টারস্) প্রকল্পের পথচলা। যারা এখন ২১ শতকের তরুণ নেতৃত্বে বলিষ্ঠ অধিকারী হয়ে উঠার সৈনিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, ৬১ জন মেধাবী কিশোর-কিশোরী ও তরুণরা বাংলাদেশের সম্পদ। কেননা যুব সমাজ দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি এবং তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই মেধাবী কিশোর-কিশোরী ও তরুণরাদের এ অর্জন দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাদের এই সাফল্য শুধু তাদের ব্যক্তিগত নয়, বরং দেশের জন্যও গর্বের। তিনি আরও বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনী মনোভাব ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে এবং এগিয়ে যেতে হবে।

বিশেষ অতিথি এম এ আখের তার বক্তব্যে বলেন, তোমাদের আজকের এই অর্জন ভবিষ্যতের উজ্জ্বল পথের সূচনা মাত্র। তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে যুব সমাজের মেধা, উদ্ভাবনী চিন্তা, ও নিষ্ঠা অপরিহার্য। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সর্বদা তাদের পাশে আছে এবং দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে কাজ করে যাবে। কিশোর-কিশোরীদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে শিক্ষালাভের মাধ্যমে নিজেদের আরও উন্নত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানান।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, বিগত সময়ে ফেসিষ্ট সরকার দেশের মেধা ধংস করে গেছে। তিনি সবার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং বলেন পরিবর্তন আসতে সময় লাগবে। এখনও অনেক দূর এগোনোর বাকি। তিনি উল্লেখ করেন, তরুণদের ভূমিকা সবসময়ই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যুবসমাজকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। উদ্ভাবনী চিন্তা ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার মাধ্যমে তাদেরই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সমাপনী বক্তব্য সচেতন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো: হাসিনুল ইসলাম বলেন, সবার সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা একসাথে তরুণদের সাফল্যের এই যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করতে পারি। যা ভবিষ্যতের সফলতার পথকে আরও সুগম করবে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button