ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বন্ধ রেখেছে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। শনিবার থেকে স্টেশনগুলোতে র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু করেছে।
তবে এরমধ্যে এমআরটি পাস কার্ড নতুন ইস্যু ও পুরোনো কার্ড রি-ইস্যু ৬ দিনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে নানা উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, অতি প্রয়োজনীয় কার্ডের ইস্যু ও রি-ইস্যু কেন বন্ধ রাখা হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, ডিটিসিএ-এর র্যাপিড পাস প্রকল্প থেকে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা চলে যাওয়া এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে। আবার কেউ মনে করছেন, ডিটিসিএ’র কার্ড বিক্রি বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কর্তৃপক্ষ বলছে, জাইকার চলে যাওয়া, না যাওয়ার সঙ্গে এমআরটি পাস ইস্যু ও রি-ইস্যু বন্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়- আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন কার্ড ইস্যু এবং পুরোনো কার্ড রি-ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য এমআরটি পাস ও একক যাত্রা টিকিট সরবরাহ করে ডিএমটিসিএল। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার ঝামেলা এড়াতে নিয়মিত যাত্রীরা এমআরটি পাস কিনে থাকেন। এতে ব্যস্ত সময়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি এড়ানো যায়। এর পাশাপাশি ভাড়া ১০ শতাংশ কমে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এমআরটি পাসধারীরা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারেন। এমআরটি পাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স রাখা যায়।