যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথগ্রহণ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিনেটর মার্কো রুবিওকে নির্বাচিত করতে পারেন বলে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস সোমবার রিপোর্ট করেছে।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত মার্কো রুবিও। চীন, রাশিয়া, ইরান, কিউবার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর ব্যাপারে ট্রাম্প যে আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেন, সেই নীতির পক্ষে মার্কো রুবিওকে সব সময় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিবিসির মার্কিন সংবাদ অংশীদারও জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সি চলাকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রিচার্ড গ্রেনেলও এই পদের জন্য সম্ভাব্য দাবিদার।
রুবিও ২০১৬ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান মনোনয়ন পেতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে সময় তাদের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ হয়, যার মধ্যে ট্রাম্প রুবিওকে ‘লিটল মার্কো’ বলে আখ্যা দেন এবং রুবিও ট্রাম্পের ‘ছোট হাত’ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
তবে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পরবর্তীতে রুবিও ট্রাম্পের প্রতি দৃঢ় সমর্থক হয়ে উঠেছেন এবং সম্প্রতি নির্বাচনি প্রচারণায় তার সঙ্গে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ করেছেন। তাকে একসময় ট্রাম্পের সম্ভাব্য সহ-প্রার্থী (ভাইস প্রেসিডেন্ট) হিসেবে ভাবা হলেও, সেই স্থানটি জেডি ভ্যান্সের জন্য নিধারিত করা হয়েছে বলা জানা গেছে।
অন্যদিকে, রিচার্ড গ্রেনেলও ট্রাম্পের একজন বিশ্বস্ত সমর্থক। তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের অধীনে এক জ্যুনিয়র ভূমিকা পালন করেন। ২০১২ সালে মিট রমনির নির্বাচনি প্রচারে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। গ্রেনেল ট্রাম্পের জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তারপর এক সংক্ষিপ্ত মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন।