বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি জাপানের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেছেন, দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও টোকিও’র অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। নতুন বাংলাদেশেরও বন্ধুই রয়েছে জাপান। গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাপান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা ও অনুরোধে আমরা কীভাবে সাড়া দিতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’ গত ১৩ থেকে ২২ নভেম্বর ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত সাবেক জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ উদ্ধারে খনন প্রচেষ্টার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দীর্ঘ দিনের অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বছরের পর বছর ধরে ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও জাপান বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিয়ে আসছে।’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি জাপানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করছি এবং আমরা তা চালিয়ে যাব।’
খননের সময় ‘জাপান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিকভারি অ্যান্ড রিপাট্রিয়েশন অব ওয়ার ক্যাজুয়ালটিস’সহ (জেএআরআরইসি) জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি দলের উদ্ধারকৃত দেহাবশেষ ২৩ জন সাবেক সৈন্যের বলে ধারণা করছে। দলটি তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দেহাবশেষ জাপানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে চিহ্নিত সৈন্যদের অবশিষ্ট দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য দলটি আবার বাংলাদেশে আসবে।