Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-seo-pack domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/alloxory/mohona.tv/wp-includes/functions.php on line 6121
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা | Mohona TV
Top Newsসংবাদ সারাদেশ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স তিন মাস ১৩ দিনের ব্যবধানে খোলার পর এবার ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা-রূপার অলংকার। এখন চলছে গণনার কাজ। এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স থেকে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা-রূপার অলংকার পাওয়া গিয়েছিল।

আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনার কাজে অংশ নিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলার রূপালি ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার ২৮৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭৫ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৪০ জন কর্মী, ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এ বিষয়ে বলেন, সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

কথিত আছে, প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button