আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, ৫২তম মহান বিজয় দিবস। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে গৌরবের দিন। এই দিনে ৩০ লাখ শ্রেষ্ঠ সন্তানের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে বাঙালি জাতি।
সেই সব আত্মদানকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও প্রস্তুতি নিচ্ছে বাঙালী গোটা জাতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে সাঁজিয়ে তোলা হয়েছে লাল-সবুজে আভায়। আগামীকাল বীর সন্তাদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে নামবে হাজারো মানুষের ঢল। তাই ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রথম শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা। পর্যায়ক্রমে বিদেশি কুটনৈতিক, রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনসহ বিজয়ী লাখো জনতা জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন। এই লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শ্রদ্ধা নিবেদনে জাতীয় সৌধ প্রাঙ্গণ প্রস্তুত করে তুলতে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ।
৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সময়ের মধ্যেই অর্ধশতাধিক কর্মী বিজয়ের রং আর ফুলে ফুলে সুশোভিত করে তোলে বাঙালির আবেগের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ইতোমধ্যেই সৌধ প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিচালক (ডিআইজি) একেএম আওলাদ হোসেন।
তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশেপাশে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শুধু সৌধ এলাকা নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর মেট্রো নিরাপত্তার বলয়ে চলে আসবে। প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে তিন হাজারের পুলিশের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় করা হয়েছে। ১১টি সেক্টরে কাজ করছে পুলিশ। সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে বিজয় দিবস ঘিরে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা হুমকি নেই।
আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, আমরা বিগত ১৬টি বছর আন্দোলনের মধ্যে ছিলাম। তখন আমাদের স্মৃতিসৌধে যেতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন মামলা হামলার কারণে বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আমরা আসতে পারিনি। এ বছর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেজন্য এবার বিজয় দিবসে আশুলিয়া বিএনপির পক্ষ থেকে প্রচুর লোকজনের সমাগম করতে পারব। এর জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি বলে জানান তিনি।