ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর স্থাপনায় অতর্কিত বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং কমান্ড কেন্দ্র লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে।
শনিবার রাতে সামাজিক মাধ্যম এক্স এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, “হুতিদের তৎপরতা ব্যাহত ও দমন করা এসব হামলার লক্ষ্য ছিল।”
তারা বলেছে, ইরানের মিত্র গোষ্ঠীটি এর আগে লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেব প্রণালী ও এডেন উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছিল। আল আরাবিয়া নিউজ জানায়, মার্কিন বাহিনী লোহিত সাগরের উপর থেকে হুতিদের অনেকগুলো ড্রোন ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) শনিবার জানিয়েছে, হুতিদের অভিযান নিশ্চিহ্ন এবং ব্যাহত করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে সেন্টকমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেবে এবং এডেন উপসাগরে জাহাজ ও মার্কিন সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছে হুতি। এর জবাবেই হুতিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইয়েমেনে চালানো মার্কিন বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে তেল আবিবের দিকে আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল হুতিরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইয়েমেনের সানা ও বন্দর শহর হোদেইদাহসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। এসব হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়।
আলজাজিরা বলছে, এসব হামলার মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে হুতিরা। গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১৫ মাস ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
একই তৎপরতার অংশ হিসেবে হুতিরা ইয়েমেনের উপকূলবর্তী লোাহিত সাগর ও আশপাশের জলপথে হামলা চালাচ্ছে। গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তারা ইসরায়েলি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যস্থল করছে বলে দাবি তাদের।
এসব হামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্যস্থলগুলোতে কয়েক মাস ধরে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু তাতেও ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটিকে থামানো যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন হুতিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।