জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার যে সময় নিচ্ছে বিএনপি সেটিকে যৌক্তিক মনে করে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, এখন নির্বাচনের রোডম্যাপের কোনো বাঁধা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের সময় একেবারে অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। তিনি ও তাঁর প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এমন বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াবে। আমরা হতাশ হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সরকারের। এর পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরবর্তী সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। সরকার বলছে, সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
পরদিন সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনের ভোট হবে।