
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল কর্মচারীদের একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। আগামী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের মধ্যে আগের সপ্তাহের কাজের বিবরণ জমা না দিলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকবে। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে কর্মচারীদের কাছে এ ইমেইল পাঠানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ই-মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, এই ইমেইলের উত্তর না দিলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ), সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের কাছে “গত সপ্তাহে আপনি কী করেছেন?” শিরোনামে ইমেইল পাঠানো হয়।
রয়টার্সের দেখা ইমেইলে কর্মীদের পাঁচটি বুলেট পয়েন্টে তাদের গত সপ্তাহের কাজের সারসংক্ষেপ দিতে বলা হয়েছে এবং ম্যানেজারদের কপি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ইমেইল অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (ওপিএম) থেকে পাঠানো হয় এবং সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট (ইস্টার্ন টাইম) পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এখনও স্পষ্ট নয়, মাস্কের এমন নির্দেশে আইনগত ভিত্তি কতটা আছে এবং যদি কেউ গোপনীয় প্রকল্পে কাজ করে থাকেন, তাহলে তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
কনজিউমার ফাইন্যান্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরোর কর্মীরাও ই-মেইলটি পেয়েছেন। যদিও এই বিভাগের অধিকাংশ কর্মচারীকে মাসের শুরু থেকেই কার্যত কোনো কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে, ফলে এটি এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও, একটি আদালতের অস্থায়ী আদেশ অনুযায়ী সংস্থাটি এখনই গণছাঁটাই চালাতে পারবে না।