বিএসএমএমইউর একজন কর্মকর্তা জানান, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর সাঈদী মারা যান।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি-বিডি) ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়।
পরে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাঈদীকে ছয়টি গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং সর্বোচ্চ আদালত হত্যা, ধর্ষণ এবং বেশ কয়েকজন হিন্দুকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করাসহ তিনটি অপরাধের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে এবং একই বছর সাঈদীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য গ্রেফতার করা হয়।
১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের অন্যতম প্রধান আসামি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।