বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা সম্প্রতি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বেশ কিছু নোবেল লরিয়েট বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অযাচিতভাবে মন্তব্য করছেন। ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো তাঁকেও দেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনেই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর ব্যতয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ মনে করেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর পক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ মুলক একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন যা খুবই দুঃখজনক। পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ নোবেল লরিয়েটসহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গের এধরনের খোলা চিঠি প্রেরণ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপের অপপ্রয়াস বলে মনে করেন এবং এধরনের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন ।
নোবেল বিজয়ীদের মানুষ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে কিন্তু বাংলাদেশের মতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সকল নাগরিকের জন্য সমান বিধায় কারো পক্ষে প্রভাবান্বিত করতে চাওয়া কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় । বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ, প্রেসিডিয়াম সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. খাবিরুজ্জামান, পিইঞ্জ., সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ড. মো. হাবিবুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, হাবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ অর্থনীতির সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানম, স্বাচিপ এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিস এর মহাসচিব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার ও সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।