উত্তর কোরিয়া শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) তাদের পশ্চিম উপকূলে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে এটি সর্বশেষ উদ্বেগ।
বার্ষিক যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ান উলচি ফ্রিডম শিল্ড সামরিক মহড়ায় প্ররোচিত হয়ে উত্তর কোরিয়া ‘কৌশলগত পারমাণবিক স্ট্রাইক ড্রিল’ এর অংশ হিসেবে এক জোড়া স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের তিন দিন পর উত্তর কোরিয়া পুনরায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
পিয়ংইয়ং এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে, যদিও দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র দু’টি মিত্র দেশ বলে যে, তারা প্রতিরক্ষামূলক মহড়া চালিয়েছে।
জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভোর ৪টায় (১৯০০ গ্রীনিচ মান) পীত সাগরের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্র গুলোর বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
জেসিএস বলেছে, ‘আমরা নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ বাড়িয়েছি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখছি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট), উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি প্রশিক্ষণ কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেন। যেখানে তিনি দক্ষিণে মূল সামরিক পোস্টে ‘একযোগে অতি-তীব্র হামলা’ সহ ভবিষ্যতের যুদ্ধ পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
উত্তর কোরিয়া এই বছর রেকর্ড সংখ্যক অস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং গত সপ্তাহে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপনের দ্বিতীয়বার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
সিউল এবং ওয়াশিংটন প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। উন্নত স্টিলথ জেট এবং মার্কিন কৌশলগত সম্পদের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বছরের পর বছর তাদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে কূটনৈতিক আলোচনাও স্থবির হয়ে পড়েছে।
কিম উত্তর কোরিয়াকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তি ঘোষণা করেছেন এবং কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রসহ অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।