ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এতে যোগ দেয় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত আট মাস ধরে ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো লক্ষ্য করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তাদের এসব হামলার কারণে এসব অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল।
গত কয়েক মাস ধরে হিজবুল্লাহর এসব হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। হিজবুল্লাহ যেন সীমান্ত এলাকায় আর হামলা না চালাতে পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। এ নিয়ে বর্তমানে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরমধ্যেই ইরানের জাতিসংঘের মিশন হুমকি দিয়েছে যদি ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালায় তাহলে ‘ধ্বংসকারী যুদ্ধ শুরু হবে’। এছাড়া ওই অঞ্চলে তাদের যেসব প্রক্সি প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে তারা সবাই যুদ্ধে যোগ দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
এ ব্যাপারে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া পোস্টে ইরানি মিশন বলেছে, “যদি লেবাননের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীরা (ইসরায়েল) পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন চালায়, একটি ধ্বংসকারী যুদ্ধ শুরু হবে। সব প্রতিরোধ বাহিনীর যুক্ত হওয়াসহ সবকিছু বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
ইরানি মিশন আরও বলেছে, লেবানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর যে হুমকি দিচ্ছে এটিকে তারা একটি প্রোপাগান্ডা ও স্নায়ু যুদ্ধ হিসেবেই বিবেচনা করছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় জার্মানি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে।