নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জালিয়াতি করে তার সম্পদের মূল্য বাড়িয়েছেন। ট্রাম্পের সম্পদমূল্য বাড়ানোর বিষয়ে আগে যা ধারণা করা হয়েছে, সম্পদমূল্য তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্প।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, জালিয়াতির অভিযোগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের একটি আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর পারিবারিক ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার ওই মামলার বিচারের প্রস্তুতির জন্য সর্বশেষ নথি জমা দেওয়ার সময় এসব কথা বলেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।
লেটিটিয়া জেমস জানান, তাঁদের মূল্যায়ন ও হিসাববিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মোট সম্পদ বাড়িয়েছেন। ট্রাম্প গত এক দশকে প্রতিবছর ১৯০ কোটি থেকে ৩৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত সম্পদ অতিরিক্ত দেখিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেল একটি অনুমান করে জানান, ট্রাম্পের সম্পদমূল্য ৮২ কোটি ২০ লাখ ডলার থেকে ২২৩ কোটি ডলারের মধ্যে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমার এই অনুমান নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই। বরং ট্রাম্পই পাল্টা বিতর্ক তৈরি করছেন।’
লেটিটিয়া জেমস বলেন, ‘আমাদের কাছে পাহাড়সম প্রমাণ আছে, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা ঋণ ও বিমার সুবিধা পাওয়ার জন্য কীভাবে তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ এবং সেই সম্পদের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন।’
আগামী ২ অক্টোবর জালিয়াতির অভিযোগে ম্যানহাটনের আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে। তার কিছুদিন আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন মন্তব্য এল। ট্রাম্পকে ২৫ কোটি ডলার জরিমানা করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের কাছে আরজি জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ট্রাম্প ও তাঁর দুই ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্পকে নিউইয়র্কে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসায় নেতৃত্ব দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চান।
অন্যদিকে ট্রাম্পের আইনজীবীরা পুরো মামলাটি খারিজ করতে চান। শুক্রবার তাঁরা অ্যাটর্নি জেনারেলের নথি জমা দেওয়ার ছয় মিনিট পরেই পাল্টা আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের সম্পদ মূল্যায়নে কোনো ধরনের প্রতারণা হয়নি। কোনো ধরনের ‘প্রশ্ন ছাড়াই’ ট্রাম্প তাঁর বহু বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ ও অসাধারণ করপোরেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
রাজনৈতিক কারণে ট্রাম্প ও তাঁর পুরো পরিবারকে অপদস্থ এবং হেয় করার উদ্দেশ্যে এমন একটি ‘সুবিধাবাদী মামলা’ করা হয়েছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।