জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য ৯৯ শতাংশ দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। প্রতিরোধযোগ্য এ ক্যান্সারে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার নারী প্রাণ হারান। অথচ এ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমন প্রেক্ষাপটে দেশের কিশোরীদের এইচপিভি টিকার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন’ স্লোগান নিয়ে ৪ অক্টোবর রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের দেওয়া হবে এ টিকা। এক মাসব্যাপী প্রথম ক্যাম্পেইনে আওতায় প্রায় ২৩ লাখ কিশোরীকে টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এ টিকার আওতায় আসবে পুরো দেশ। এরই মধ্যে টিকা প্রাপ্তির রেজিস্ট্রেশনের জন্য ওয়েবসাইটও তৈরি করা হয়েছে।
সরকারকে এ কাজে সহায়তা করছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি), ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ। টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নুরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে গণমাধ্যমসহ প্রচার সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের এসবিসি সেকশন প্রধান ব্রিজেট জব জনসন।
এদিকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া ৩৫ ও ৪৫ বছর বয়সী নারীদের দুবার স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা করা এবং ৯০ শতাংশকে চিকিৎসার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রাও দিয়েছে সংস্থাটি। ইপিআইয়ের তথ্যমতে, চলতি বছর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে গ্যাভি থেকে ১ কোটি ১১ লাখ ৮৩৫ ডোজ এইচপিভি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে।
২০২১ সালে ক্যানসারবিষয়ক গবেষণার অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী যে মেয়েরা এইচপিভি টিকা পেয়েছে, তাদের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ কমেছে।