চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মার চরের তিনটি ইউনিয়নে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছরের মাথায় কেবল ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তিনটি ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম। এতে দেড়মাস ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে চরাঞ্চলবাসী। ফলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন ৬টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সর্বনাশা পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দুরত্বে দুর্গম চরে পৌঁছে যায় বিদ্যুৎ সুবিধা। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সাবমেরিন ক্যাবল ছিঁড়ে বিছিন্ন হয় চর লক্ষীপুর, দক্ষিণ পাকা, নিশিপাড়া চর, কদমতলা ও সেতারাপাড়া গ্রামের বিদুৎ সংযোগ। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকায় জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল ফোনের চার্জ, নেটওয়ার্ক সেবার পাশাপাশি সরিষা, ধান ও গম ভাঙানো মেশিনও বন্ধ রয়েছে। চরম অসুবিধায় পড়েছে স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এমনকি ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। মোবাইল বন্ধ হওয়ায় চরাঞ্চলবাসী যোগাযোগ করতে পারছেন না আত্বীয়-স্বজনদের সাথেও।
পল্লী বিদ্যুৎকে বলেও কোন সুরাহা মিলেছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। এদিকে স্থানীয়রা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অন্যদিকে, সাবমেরিন ক্যাবল লাইন মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় প্রায় ৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ কোটি টাকা ব্যয় হয় নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে দুই উপজেলার ৪ হাজার ২০০ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে।