বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সালেহ আল ফরিদীর সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক সহযোগিতায় সৌদি সবসময় পাশে থেকেছে। আমাদের প্রায় ২৬ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই-বোন সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভীত মজবুত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই সবসময় সৌদি আরবকে বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে সৌদি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প, আসবাবপত্র শিল্প, সিরামিক, হিমায়িত খাদ্য, স্বচ্ছ পানির মাছ, হালাল খাবার, মশলা, চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের সুনাম বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সৌদি ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে লাভবান হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি ক্লিন এনার্জি, অবকাঠামো, অটো পার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, আবাসন শিল্প, আইটিতে সৌদি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদি আরবকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সালেহ আল ফরিদী বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির দারুণ সুযোগ রয়েছে।চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে সৌদি ব্যবসায়ী দলের বিজনেস সামিটে অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সৌদি চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান।
গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ হয়।এর ধারাবাহিকতায় রিয়াদে বৃহস্পতিবার দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রথম বিজনেস কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে জ্বালানি, আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, খাদ্যপণ্য, লজিস্টিকস, পোশাকশিল্প, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইত্যাদি অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করে পারস্পরিক ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ঐক্যমত্য প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে আরও ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. খায়রুল হুদা চপল, মো. মুনির হোসেন, পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, হাসিনা নেওয়াজ, খন্দকার রুহুল আমিন, মূনাল মাহবুব, মো. আলী হোসেন শিশির, মো. এনায়েত উল্লাহ, বি এম সোহেব, সহিদুল হক মোল্লা, সৈয়দ মো আবু বক্কর, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ান, সালমা হোসেন এশ, মো আমীর হোসাইন নুরানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।