পতিত হাসিনা সরকারের আমলে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বিদেশে। ধ্বংস করা হয়েছে ব্যাংক খাতকে। এই অর্থ চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এই অর্থ ফেরত আনতে দেশের আদালতে অপরাধ প্রমাণসহ লাগবে চুক্তিও। পাচারকারীকে আটক করে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার পক্ষে মত দেন আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ’র সাবেক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
হাসিনা ও তার সহযোগীরা অন্তত ১৭ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। এই তথ্য খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের তথ্য বলছে, বিগত সরকারের আমলে প্রতি বছর পাচার হয়েছে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার। পাচার হওয়া এসব অর্থের অন্তত ৮০ শতাংশই হয় আমদানি-রপ্তানির আড়ালে।
এই অর্থ ফেরত আনতে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সরকার। তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর নজির খুবই কম। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে কিছু অর্থ ফেরত পেয়েছে ইউক্রেন, ফিলিপাইন ও পেরু।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ’র সাবেক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেল অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানি’র আড়ালে পাচার হওয়া অর্থ চিহ্নিত করা সম্ভব। তবে তা সময় সাপেক্ষ। দ্রুত অর্থ ফেরত আনতে পাচারকারীদের আটকের পর কঠোর পদক্ষেপ ভালো ফল আসবে বলে মনে করেন তিনি।
আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, পাচারের ঘটনার বিচারের জন্য সঠিকভাবে মামলা দায়ের ও তদন্ত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সহায়তায় আশ্বাসে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।