২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে বিশেষ অবদান রাখায় ৭৩টি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি দেয়া হয়েছ।
৩২টি শিল্পখাতের ব্যবসায়ীরা এই পদক পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৯টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে।
সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বা সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড।
এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে অবদান রাখার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭১টি কোম্পানি এই পুরস্কার পেয়েছিল। ওই বছর তৈরি পোশাক (ওভেন) ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছিল রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রপ্তানিকারকদের হাতে পদক তুলে দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করা হয়েছে। আরও ৯০টি চালু হবে। বৈশ্বিক অনেক অনেক বড় প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন ‘আমি স্বপ্ন দেখি আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আমাদের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।’এর জন্য তিনি পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন-আইটি, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল খাতের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেবলমাত্র পোশাক শিল্পের উপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরও অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে তত বেশি দেশে রপ্তানি করা যাবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশ লাভবান হবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তি আছে বলে তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।