সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধীদের ডাকা তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকাল ৬টায়।
বিএনপি ও তার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার দুদিন কোনো কর্মসূচি থাকবে না। এরপর ১২ ও ১৩ তারিখ হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচি আসার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপিসহ শরিকদল ও জোট যে যার অবস্থান থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
১২ ও ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে বিএনপির একাধিক নেতার কাছে জানতে চাইলে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আজ বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তিনি তখন বিস্তারিত জানাবেন।
নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির একজন নেতা বলেন, এখনকার মতো টানা অবরোধ কর্মসূচি চললে মানুষের মধ্যে বিরক্তি চলে আসবে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও হতাশা আসতে পারে। পুলিশের মামলা ও ধরপাকড়ের ভয়ে এমনিতে নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। তাই দুই দিনের বিরতি দিয়ে এবার দুই দিনের হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, সরকার আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই হিসেবে বিরোধীদলগুলোর হাতে খুব বেশি সময় নেই। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। পাশাপাশি মাঠের সক্রিয় ও তৃণমূল নেতাদেরও গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির শীর্ষ প্রায় সব নেতাদের গ্রেপ্তারের পরও দলের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রমাণ করে বিএনপি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সরকার যতই চেষ্টা করুক বিএনপিকে ভাঙতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের গেটে পড়ে আছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বিএনপি মহাসচিবকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া চিঠিসহ বিভিন্ন চিঠি। প্রতিদিনের মতো আজও দলটির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।