গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সারাদেশে ১৭ দিনে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ১৩৫টি ঘটনায় পোড়ানো হয়েছে যানবাহন।
সারা দেশ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ৬৪ জেলার মধ্যে স্থাপনা ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে ২৫ জেলায়; বাকি ৩৯ জেলায় আগুন নিয়ে কোনো নাশকতার খবর আসেনি।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, আগুন দেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকায়; সিলেট বিভাগে এ ধরনের নাশকতা ঘটেনি। বাকি জেলাগুলোর মধ্যে গাজীপুরে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে গাজীপুরে দিনের চাইতে রাতে বেশি ঘটেছে নাশকতা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ডে মোট বাস ৯৪টি, মাইক্রোবাস ৩টি, প্রাইভেটকার ২টি, মোটরসাইকেল ৮টি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ডভ্যান ৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, পিকআপ ২টি, সিএনজি ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ১টি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি পুড়ে যায়। এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।
জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে ৮টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, বগুড়ায় ৫টি, মানিকগঞ্জে ৪টি, ফরিদপুরে ৪টি, লালমনিরহাটে ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক দিনের বেলা থেকে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।