বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ‘গণমুক্তি জোট’ নামে একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ জোট আত্মপ্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, উপদেষ্টা হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে আবু লায়েস মুন্না, মুখপাত্র হিসেবে সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, কো-চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর এ আর খান, সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, আমিনা খাতুন ও সমন্বয়ক হিসেবে মো. আল আমিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া জোটের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ড. মোমেনা খাতুন, ড. ইশা মোহাম্মদ, ড. মোহাম্মদ আলী, ডা. অধ্যাপক মো. ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. শহীদ মঞ্জু, মোহাম্মদ ফজলুল হক, এ আর এম রাজু সিকদার, ইঞ্জি. মুসফিকুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া ও শেখ আব্দুন নুরের নাম ঘোষণা করা হয়।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছড়ি প্রতীক নিয়ে ৩০০ আসনে অংশগ্রহণ করাই জোটের লক্ষ্য বলে জানান জোটের মুখপাত্র কাসেম মাসুদ। গণমুক্তি জোটের অধীনে কয়টি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ‘সবসময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের বাইরে সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি বিশেষও নির্বাচনে অংশ নিতে চায়; শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি তাদের সম্পৃক্ত করতে। অনেকে ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আরো অনেকে দেবেন। আবার অনেকে জোট গঠনের পর বের হয়ে যান। তাই জোটের অধীনে কতগুলো দল বা সংগঠন আছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে চাই না।’