৩ দিনের সফরে আজ দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বছরের দ্বিতীয় “ফরেন অফিস কনসালটেশন” বলা হলেও, সফরে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষভাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা হবে, তা স্পষ্ট করেছেন সরকারের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
বছরের দ্বিতীয় “ফরেন অফিস কনসালটেশন” বলা হলেও, সফরে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষভাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা হবে, তা স্পষ্ট করেছেন সরকারের এই শীর্ষ কূটনীতিক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিবপর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। সভায় ঢাকার পক্ষে মাসুদ বিন মোমেন এবং দিল্লির পক্ষে বিনয় কোয়াত্রা যার যার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
সভায় আলোচনার বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটা একটা রুটিন মেকানিজম। সেখানে দুই দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের এ বৈঠকে অগ্রাধিকার যেসব বিষয় আছে—রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অভিন্ন নদীসংক্রান্ত, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক সহায়তাসংক্রান্ত বিষয়, উন্নয়ন সহায়তা, কনস্যুলারসংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয় থাকবে। এর বাইরেও আলোচনা হতে পারে।
পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থান করে বাংলাদেশের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যে ৯০ দেশের দূতাবাস রয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দূতাবাসগুলোকে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন, বিশেষ করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে জানানো হবে। আর সে বৈঠকে আসন্ন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ওই রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রসচিব।
চলতি বছর ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে এটা দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে কূটনীতিক পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ঢাকা-দিল্লির পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।