প্রায় ৬ যুগ পর পরিবর্তন হচ্ছে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন। পরিবর্তিত নতুন আইনের নাম ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪’। নতুন আইনের শিরোনামে আমদানি ও রপ্তানি ‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটির উল্লেখ থাকবে না।
আমদানি ও রপ্তানি ( নিয়ন্ত্রণ ) আইন, ১৯৫০ এর অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলেই পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সকল সরকারী নির্দেশাবলী এন্ড বিধি বিধান প্রণীত করা হয়ে থাকে । সময়ের পরিবর্তনের পাশে সামঞ্জস্য রেখে এই সব বিধি বিধানও প্রয়োজন বোধে পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়।
প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, উন্নয়ন ও ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো পণ্য ও সেবা আমদানি বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন করে আইনটি করা হচ্ছে। এ আইন হওয়ার পর আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকসহ সব ধরনের ব্যবসায়ীই অধিকতর সেবা পাবেন বলে আমরা আশা করি।’
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ, বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়ন ও ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো পণ্য ও সেবা আমদানি বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা সমীচীন ও দরকারি। তাই আইনটি নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি পঞ্জিকা বছরে আইন পাস করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকারের বর্তমান মেয়াদে যেহেতু আর সংসদের অধিবেশন বসার সুযোগ নেই সেহেতু এ বছর আর তা পাস হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে।