ব্যাপক ঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে হাজার সাধারণ মানুষ।
রাশিয়া জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস ও মারাত্মক বন্যার কারণে দক্ষিণে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। মস্কোর সংযুক্ত করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলও এর মধ্যে রয়েছে।
রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে এবং বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ পরিবার। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিবিসি এবং আল জাজিরার পৃথক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানান হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্থানীয় সময় রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে শক্তিশালী বাতাস এবং ব্যাপক বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলে রাশিয়া জানিয়েছে। এখানে দক্ষিণাঞ্চল বলতে রাশিয়া নিজের অঞ্চল ছাড়াও গত বছর অবৈধভাবে সংযুক্ত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের কথাও উল্লেখ করেছে।
রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, প্রায় ১৯ লাখ মানুষ দক্ষিণ রাশিয়ার দাগেস্তান, ক্রাসনোদার এবং রোস্তভের পাশাপাশি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, ঝাপোরিজিয়া এবং ক্রিমিয়াতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ক্রিমিয়াতে মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি শত শত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর সোচিতে বড় বড় ঢেউ শহরের সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে দেখা গেছে। এছাড়া সেখানকার একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়তে দেখা গেছে একটি ভিডিও ফুটেজে।
রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রিসোর্ট শহর সোচিতে একজন, রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে একজন এবং কের্চ স্ট্রেটে একটি জাহাজে থাকা একজন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, ওডেসা, মাইকোলাইভ এবং কিয়েভে দু হাজারেরও বেশি শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পড়াসহ অনেক অবকাঠামোর ক্ষতি হয়। এসব অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনজুড়ে এখন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে দেড় হাজারেরও বেশি উদ্ধারকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরাও তাদের সাহায্য করছেন