জাতীয়

এখনও কৃষকের মর্যাদা পায়নি নারীরা: আইনুন নাহার লিপি

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশর জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ নারী। বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনের ২০ ধরনের কাজে নারীরা জড়িত। অনেকসময় তারা ফসল উৎপদানে মাঠে যেমন কাজ করেন, তেমনি মাঠের বাইরে উৎপাদন কাজেও তারা প্রধান ভূমিকা রাখেন। 

উন্নয়ন কর্মীরা বলছেন, প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি নারী বিভিন্ন ধরনের কৃষি উৎপাদনের সাথে সরাসরি জড়িত। কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক অবদানের মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি তারা পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি বলেছেন, নারীরা এখনও কৃষকের মর্যাদা পায়নি। যার ফলে তারা ঋণ পাচ্ছে না। কিন্তু সমবায়ের মাধ্যমে তা পেতে পারে। সমবায় আইন সংশোধন করে এমন করা হোক যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সক্ষমতা অর্জন করে রাষ্ট্রের ক্ষমতার অংশীদার হতে পারে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেটে দৈনিক কালবেলার প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমবায় গঠনে অন্তরায় ও উত্তরণ: প্রসঙ্গ সমবায় সমিতি আইন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি বলেন, ছোটবেলায় বিজ্ঞাপন দেখেছি, স্বনির্ভর হতে গেলে সমবায় নীতি করতে হবে। আমি যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে চাই তবে রাষ্ট্রকে একটু বেশি এফোর্ট দিয়ে তাদের নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আইনটা পড়লে মনে হবে যে, যারা সমবায় করবে তাদের ওপর মাতব্বরি করার জন্য আইনটা করা হয়েছে।

পুরুষরা কৃষিকাজ শুরু করলেও একটা সময় পর সব কাজ নারীরা করেন। যেমন ধান সিদ্ধ করা, মাড়াই করা, ঢেঁকিতে পাড় দেওয়া, চাল করা পুরোটাই নারীদের করতে হয়। কিন্তু তবু তারা কৃষকের মর্যাদা পাচ্ছে না। এ জন্য তারা ঋণ পাচ্ছে না। সমবায়ের আইনটাই বানানো হয়েছে যত জটিল করা যায়। পদ্ধতিটা যত জটিল হবে যাতে তোমরা সমবায়টি না করতে পারো। আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি বলেন, আইনটা পড়লে সমবায়ের মানে আর খুঁজে পাচ্ছি না। অনেক আইন বাতিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে এটিও বাতিল করে নতুন করে করা হোক। পুরো আইনটাই রিভিউয়ের দাবি রাখে। এটি সংশোধন করে এমন করা হোক যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সক্ষমতা অর্জন করুক, রাষ্ট্রের ক্ষমতার মধ্যে অংশীদার হোক।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (সমিতি ব্যবস্থাপনা) আহসান কবীর। আলোচক ছিলেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি ও রাজশাহীর রুলফাওর পরিচালক আফজাল হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম।

 

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button