ইরানে যে কোনো সময় হামলা চালাবে দখলদার ইসরায়েল। মিসাইল হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হবে। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই হামলার পরিধি হবে বড়। হামলায় ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের সেই কর্মকর্তা বলেছেন, হামলা হবে ‘কয়েকদিনের মধ্যে’। গতকাল মঙ্গলবার দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি মিসাইল ছোড়ে ইরান। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং নিজেদের এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এত বড় হামলা চালায় ইরান। দখলদার ইসরায়েলের অপর এক কর্মকর্তা এক্সিওসকে জানিয়েছেন, তাদের হামলার পর ইরান যদি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আবারও মিসাইল ছোড়ে তাহলে ‘ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে’ হামলাসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় রাখা হবে।
তিনি বলেন, “আমাদের হামলার জবাবে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আমরা বিবেচনায় রাখছি তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তবে তখন এটি পুরোপুরি আলাদা বলের খেলা হবে।”
মঙ্গলবারের মিসাইল হামলায় দখলদার ইসরায়েলের একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইরান। এরমধ্যে নেভাতিম বিমান ঘাঁটি প্রায় অচল করে দিয়েছে তেহরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, এই ঘাঁটিতে ইরানের কয়েক ডজন মিসাইল পড়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে তারা।
এছাড়া ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হেডঅফিস লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইরান। তবে সরাসরি অফিসে মিসাইল না ছুড়ে পাশে সেগুলো ফেলে; ইসরায়েলকে ইরান কড়া বার্তা দিয়েছে।