বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’–এর প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এতে রাজ্যটির অনেক আবাসিক এলাকা এবং দেশটির অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরের রানওয়ে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ইতিমধ্যেই খারাপ অবস্থা তামিলনাড়ুর। অতি ভারী বৃষ্টি তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে। বৃষ্টির প্রকোপ থেকে বাদ পড়েনি চেন্নাই বিমানবন্দরও। সেখানে ফ্লাইট অপারেশন প্রভাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্টও করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার কথা রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের জেরে চেন্নাইয়ে গতকাল সোমবারই (৪ ডিসেম্বর) পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন দুজন। একজন মারা গেছেন গাছের নিচে চাপা পড়ে। চেন্নাই শহরে আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে ঝড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। এছাড়াও চেন্নাই, চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপত্তনম, কুড্ডালোর, তিরুবাল্লুর জেলায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুইটি রাজ্যের কর্তৃপক্ষই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে মিগজাউম। তখন তার গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ১১০ কিলোমিটার।