চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরের ম্যারিয়ট হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে শয়তানের পূজারিদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন যার নাম দেওয়া হয়েছিল “স্যাটান কন”।
এদিন শয়তানের উপাসনার আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য আলাদা হোটেলের একটি রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক কোনায় একটি বেদী আর মেঝেতে পেন্টাগনের চিহ্ন এঁকে যে আনুষ্ঠানিকতা পালন হয় সেটিকে বলা হয় “আনব্যাপ্টিসম”, অর্থাৎ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হওয়ার উল্টো প্রক্রিয়া।
শৈশবে ধর্মীয় দীক্ষা নেওয়ার সময় যেসব রীতি পালন করতে হয়, এখানে অংশগ্রহণকারীরা সেই রীতিগুলো প্রতীকীভাবে বর্জন করার অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। তবে অন্যের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এখানে অংশ নিতে হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মেলনে অংশ নেওয়া সবার পরনেই ছিল গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা কালো আলখাল্লা, মাথায় হুড আর কালো মুখোশ। সবার হাতই ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা, যা পরে খুলে ফেলা হয় “মুক্তির” প্রতীক হিসেবে। বিভিন্ন জায়গায় বাইবেলের ছেঁড়া পাতা রেখে বোঝানো হয় খ্রিস্টধর্ম থেকে বের হয়ে আসার শপথ।
স্যাটানিক টেম্পল বলছে, গত কয়েক বছরে তাদের সদস্য সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালেও যেখানে তাদের সদস্য ছিল আনুমানিক ১০ হাজার, সেখান থেকে এখন সাত লাখেরও বেশি মানুষ সঙ্গে আছেন বলে দাবি তাদের।
বোস্টনের সম্মেলনে যারা গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী থেকে শুরু করে সার্কাসের পারফর্মারও রয়েছেন। এদের অনেকেই এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির সদস্য। আবার অনেকেই আছেন, যারা খ্রিস্টানদের সঙ্গে বিবাহিত।