গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা উন্মুক্ত স্থানে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকি বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অনেকেই আবার পার্কেও থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। গাজার এসব বাস্তুচ্যুত লোকদের মাঝে ব্যাপকহারে রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ)।
টানা আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর এই হামলার জেরে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজায় রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপত্যাকার এক লাখ ৮০ হাজার মানুষের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেখানকার অন্তত ৫৫ হাজার ৪০০ লোকের মাঝে উকুন ও চুলকানির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপত্যাকার পাঁচ হাজর ৩৩০ জন চিকেন পক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ওসিএইচএর তথ্যমতে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ২৩টি হাসপাতাল আংশিক চালু অবস্থায় রয়েছে। এসব হাসপাতালে ৯টিই দক্ষিণে অবস্থিত।
ইউএনআরডব্লিউএর জুলিয়েট তোমা বলেছেন, জাতিসংঘকে ‘সীমিত সহায়তা’ আনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গাজার মানবিক চাহিদা ‘ব্যাপকভাবে বেড়েছে’। তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার যেসব এলাকায় আমাদের প্রবেশ করা উচিত সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে ইউএনআরডব্লিউএ বিধিনিষেধের সম্মুখীন’ হচ্ছে।