‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামে ঢাকা–কক্সবাজার রুটে ১০ জানুয়ারি থেকে আরও এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।সোমবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা থেকে সকাল সোয়া ৬টায় ছেড়ে ট্রেনটি কক্সবাজারে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়। কক্সবাজার থেকে রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪টায়।
নতুন এ ট্রেনের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রেলওয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, এ ট্রেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। আগের ট্রেনটির মতো এটি শুধু চট্টগ্রামে থেকে ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচল করবে।
এর আগে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’।
সোমবার রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখার উপপরিচালক মো. শওকত জামিল মোহসীন স্বাক্ষরিত নির্দেশপত্রে বলা হয়, এটি কক্সবাজার থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে ঢাকার কমলাপুর আসবে ভোর সাড়ে ৪টায়। যাত্রাকালে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। সেখানে ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে এবং রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে।
অপরদিকে ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে বিকাল ৩টায়। যাত্রাকালে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে ছেড়ে বিরতহীনভাবে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছাড়বে। এ ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে রোববার।
প্রথম ট্রেনটি যাত্রীদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরপর নতুন আরেকটি ট্রেন চালুর বিষয়ে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) কার্যালয়ে একটি প্রস্তাব আসে। তাতে এ বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারি থেকে আরেকটি একটি ট্রেন চালানোর অনুমোদন চাওয়া হয়।
‘পালংকি’, ‘তরঙ্গ এক্সপ্রেস’ ও ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’-এ তিনটি নাম প্রস্তাব করা হয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটক এক্সপ্রেস অনুমোদন করেন।