লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে ড্রোন হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি প্রধান সালেহ আল-আরোরিসহ চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এ হামলায় হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের দুজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। উর্ধ্বতন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলী হামলায় সালেহ আল আরোরি ছাড়া তার দেহরক্ষীও নিহত হয়েছে।
আরৌরি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান এবং এর সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি সম্প্রতি লেবানন ও কাতার উভয় দেশেই সময় কাটিয়েছেন এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে জিম্মিদের নিয়ে আলোচনার মধ্যস্থতা করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে অভিহিত করেছে। গত বছর অরৌরি সম্পর্কে তথ্যের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব করেছিল দেশটি। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আরৌরির হত্যাকাণ্ড একটি সন্ত্রাসী কাজ, লেবাননের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের শত্রুতার সম্প্রসারণ।’
হামলার পর লেবাননের শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈরুত শহরের কেন্দ্রস্থলে সালেহ আল-আরোরি ও তার সঙ্গীদের হত্যার অপরাধকে লেবানন এবং এর জনগণ নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরোধের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক আগ্রাসন বলে মনে করে। এই অপরাধের জন্য ‘প্রতিক্রিয়া ও সাজার’ মুখোমুখি হতে হবে বলে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
এদিকে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় শত শত মানুষ প্রতিশোধের আহ্বান জানাতে রাস্তায় নেমেছিল। ইরানও এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরো শক্তিশালী করবে তাঁর মৃত্যু।