জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্পূর্ণভাবে শ্রদ্ধা দেখাতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনকালে সহিংসতার ঘটনার খবরে ‘স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন’ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মানবাধিকারে সম্মান দেখাতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো নিউ ইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।
সেখানে তাকে এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে ও শেখ হাসিনা বিজয় দাবি করেছেন। যদিও এমন পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে যে যেখানে হাজার হাজার মানুষ ও বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জাতিসংঘ কি মনে করে যে এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে?
জবাবে ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, সেখানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আমরা দেখেছি। যা ঘটছে তা মহাসচিবের নজরে রয়েছে। তিনি বিরোধীদের নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ ভিন্নমত ও সমালোচনামূলক কণ্ঠকে দমিয়ে রাখার এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের সব অভিযোগ অবহিত আছেন। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবরে তিনি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন।
অপর প্রশ্নে বলা হয়, নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রেরসহ শতাধিক বিদেশী পর্যবেক্ষক ছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের নতুন সরকার আগামী দিনে জাতিসংঘের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে আরো এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশের নতুন সরকার সম্পর্কে কিছু বলার আছে?
এসময় ফ্লোরেন্সিয়া বলেন, এটি অপরিহার্য যে তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তুলবে। সব প্রকার সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করুন এবং মানবাধিকারের প্রতি সুস্পষ্ট সম্মান নিশ্চিত করুন।