খেলাধুলা

দামি ক্লাব তালিকার তিন নম্বরে ইন্টার মিয়ামি

মোহনা অনলাইন

লিওলেন মেসি যেন এক জাদুকর । যার ছোঁয়ায় বদলে যায় সবকিছু । তিনি যেখানে যান সেখানে যেন সোনা ফলে । তেমনি মেসির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। আর্জেন্টাইন তারকা যোগ দেওয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির বাজারমূল্য বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এমএলএসের সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে মিয়ামি। এক বছরের কম সময়ের ব্যবধানে সেই ক্লাবটিই সাত ধাপ এগিয়েছে।

বর্তমানে ইন্টার মিয়ামির বাজারমূল্য ১০২ কোটি ডলার। দলটির ওপর আছে শুধু লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (১১৫ কোটি ডলার) ও আটলান্টা ইউনাইটেড (১০৫ কোটি ডলার)।

১০০ কোটি ডলার বাজারমূল্য নিয়ে তালিকার চারে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি। এবারই প্রথম এমএলএসের চারটি ক্লাবের বাজারমূল্য শত কোটি ডলার ছুঁয়েছে। গত বছর প্রথম ক্লাব হিসেবে এই অঙ্ক ছুঁয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি।

গত বছরের জুলাইয়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে মিয়ামিতে যোগ দেন মেসি। তাকে পেয়ে ক্লাবটির খেলায় উন্নতি হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলও অনেকটা বদলে গেছে। ফুটবল বাণিজ্যেও মিয়ামির বাজার ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে।

মেসি যে মায়ামিতে যোগ দিয়েই থেমেছেন তা নয়, বরং তিনি তারকা ফুটবলারদের নিজের ক্লাবে টানছেন। যোগ দেওয়ার পর সের্হিও বুসকেতস, জর্দি আলবার পর এবার এনেছেন লুইস সুয়ারেজকে। বার্সেলোনায় রাজত্ব করা ফুটবলারদের নিজের ক্লাবে ভিড়িয়ে মায়ামিকে এক শক্তিশালী দলে পরিণত করতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার।

মেসি যোগ দেওয়ার আগে বাজারমূল্যের দিক থেকে এমএলএসের ২৯টি ক্লাবের মধ্যে ১০ নম্বরে ছিল ইন্টার মিয়ামি। এক বছরের কম সময়ের ব্যবধানে সেই ক্লাবটিই সাত ধাপ এগিয়েছে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এই ক্লাবের দাম গত এক বছরে বেড়েছে ৭৪%। দাম বাড়ায় অন্য ক্লাবগুলো মিয়ামির ধারেকাছেও নেই। শীর্ষে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির দাম গত এক বছরে বেড়েছে ২৮%, আটলান্টা ইউনাইটেডের বেড়েছে ২৩%।

মেসি আসার আগে মিয়ামির কোনও শিরোপা ছিল না। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ছোঁয়ায় লিগস কাপ জিতে ক্লাবটি সে আক্ষেপ ঘুচিয়েছে। দলকে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালেও তুলেছিলেন মেসি। কিন্তু চোটের কারণে হিউস্টন ডায়নামোর বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে পারেননি। তাকে ছাড়া মিয়ামিও শিরোপা জিততে পারেনি। মেসি আসার পর এমএলএসেও বেশ উন্নতি করেছে মিয়ামি।

গত মৌসুমে নানা কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি মেসির। ২০২৪ সালে এসে নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি, গত মৌসুমে ক্লাবের এই সাফল্য আরও বাড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। বিশ্বসেরা একজন ফুটবলার কিভাবে এসে তলানিতে থাকা দলকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যান মায়ামিকে দেখে সেটিই মনে হচ্ছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button