কিছু ফল এবং সবজি আছে যেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিলে মানব দেহের জন্য উপকারি অনেক পুষ্টি উপাদানও এর সঙ্গে চলে যায়। এমনটা করা হয় সাধারণত এই ভেবে যে খোসা নোংরা এবং এতে কীটনাশক ও অন্যান্য রাসায়নিক লেগে আছে।
বেশিরভাগ ফল ও সবজি খাওয়ার সময় আমরা খোসা ফেলে দিই। কিন্তু জানেন কি এতে অপচয় হয় পুষ্টির? বেশ কিছু ফল ও সবজি রয়েছে, যেগুলোর খোসা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ণ। জেনে নিন খোসাসহ খাবেন কোন সবজি ও ফল।
তরমুজ: তরমুজের খোসার ভেতরের সাদা অংশ ফেলে না দিয়ে খেতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, বি ৬, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক। এটি খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ত্বক সুন্দর থাকে।
আলু: ভেতরের উপাদানের চেয়ে আলুর খোসাতেই বেশি পুষ্টি! এতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। আর মিষ্টি আলুর খোসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা হজমের সময় ভিটামিন এ-তে রুপান্তরিত হয়। দেহকোষগুলোর স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য ভিটামিন এ জরুরি।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুর খোসা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ। এছাড়া পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই পাওয়া যায় এর খোসা থেকে। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে মিষ্টি আলু খোসাসহ খেলে। এছাড়া বাড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।
গাজর: গাজরের চামড়ায় আছে পলিএসিটাইলিনস। এটি এমন একটি রাসায়নিক যাতে আছে ব্যাকটেরিয়ানাশক, প্রদাহরোধী এবং ছত্রাকনাশক উপাদান। আপনি গাজরের চামড়ায় পাবেন সবচেয়ে ঘন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। সুতরাং গাজর কখনো চামড়া ছিলে খাবেন না।
শসা: খোসাসহ সালাদ বানিয়ে খান শসা। শসার খোসা থেকে মেলে ভিটামিন কে, পটাসিয়াম ও ফাইবার। হজমের গণ্ডগোল দূর হওয়ার পাশাপাশি ওজন কমাতেও এর ভূমিকা অপরিসীম।
কমলা: সালাদ বা বিভিন্ন খাবারে কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন কমলার খোসা। শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফাইবার, পেকটিন ও ভিটামিন এ মেলে কমলার খোসায়।
আপেল: আপেলের খোসাতেই এর অর্ধেক খাদ্য আঁশ থাকে। এছাড়া এতে আরো আছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এতে আছে কোয়েরসেটিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ও শ্বাসের সমস্যা দূর করতে এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
লেবু: ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর খোসা খেলে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি। এছাড়া হাড় ও দাঁত ভালো থাকে।