Uncategorized

বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় খেয়ে পুরুষত্বের প্রমাণ!

মোহনা অনলাইন

বিশ্বের আনাচে কানাচে এখনো এমন অনেক জাতির বসবাস। যারা আধুনিক বিশ্ব থেকে যোজন যোজন দূরে। আধুনিকতার ছিটেফোঁটাও লাগেনি তাদের রীতিনীতি আর সংস্কৃতিতে। নিজেদের পূর্বপুরুষের তৈরি করা সেসব রীতিনীতি, প্রথা এখনও মেনে চলছেন তারা। আমাজনের গভীরে এখনও প্রায় ১০ হাজারের মতো আদিবাসীরা বাস করছেন।

তাদের নাগাল পাওয়া কিন্তু অতটাও সহজ নয়। যদিও এরইমধ্যে তাদের ব্যাপারে আধুনিক সমাজ অনেক কিছুই জেনেছে। জেনেছে তাদের গা শিওরে ওঠা সব নৃশংস রীতিনীতির সম্পর্কেও। এই সাতেরে মাওয়ে উপজাতির কথাই ধরা যাক। এই উপজাতির পুরুষদের পুরুষত্বের প্রমাণ দিতে খেতে হয় পিঁপড়ার কামড়। বুলেট নামক ভিমরুলের আকৃতির দসেই পিঁপড়ার বিষাক্ত কামড় সহ্য করতে পারলেই হওয়া যাবে প্রকৃত যোদ্ধা।

আমাজনের সেই বিষাক্ত প্রজাতির পিঁপড়ার নাম প্যারাপোনেরা ক্লাভাটার। এর এক কাম ড়ে ২৪ ঘণ্টা একটানা ব্যথা অনুভূত হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতই যন্ত্রণাদায়ক এই পিঁপড়ার কামড়। এর কামড়ে অত্যাধিক কাঁপুনির সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ সময়ই ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যায়। আর যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে তারাই পেয়ে যায় বীরপুরুষের খেতাব।

পুরো জীবনে ২০ বার বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় সহ্য করে সাতেরে মাওয়ে পুরুষরা। জঙ্গল থেকে তারা পিঁপড়াগুলোকে সংগ্রহ করে পাতা দিয়ে তৈরি একজোড়া গ্লাভসের মধ্যে। এদিন অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। বাঁশ দিয়ে ঘেরা চারকোণা একটি জায়গায় উপস্থিত হয় পরীক্ষার্থী। ঠিক যেন খোঁয়ারে ঢুকেছে সে! এরপর বয়স্ক কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী যুবার হাতে গ্লাভসটি পরিয়ে দেয়।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button