গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা ইসরায়েলি আক্রমণের মুখে আশ্রয় নিয়েছিলেন রাফায়। সোমবার ভোরে ঘুমন্ত উদ্বাস্তুদের হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) হামলা শুরু করলে প্রায় ১৩ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয় নেন এই রাফা শহরে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার মধ্যরাত পেরুনোর মাত্রই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ভোর পর্যন্ত চলে বোমা ও কামানের গোলা নিক্ষেপ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফায় হামাসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। রাফার কয়েকটি এলাকার প্রায় ১৪টি বাড়ি ও তিনটি মসজিদে হামলা চালায় তারা। তবে হামলা শুরুর আগে সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সরানোর আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও এর আগেই গতকাল রোববার এ হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী।
গাজার সর্ব দক্ষিণের শহর রাফায় অভিযান চালালে জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা হুমকিতে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। হামাসের এক শীর্ষ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, রাফা শহরে দখলদার সেনাবাহিনীর যেকোনো হামলা বন্দিবিনিময় আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় চলমান অভিযান রাফা পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রাফায় স্থল অভিযান চালানো হলে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। অঞ্চলটিতে বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চত না করে হামলা চালানো উচিত নয় বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন তিনি।
রাফায় অভিযানের বিষয়ে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, গাজার অর্ধেক বাসিন্দা এখন ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্কে ব্রাইনস স্লোট বলেছেন, স্থল অভিযানে সেখানে অনেক বেসামরিক নাগরিক মারা যেতে পারেন।