জাতীয়

পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ বেশি করে নারীরা

মোহনা অনলাইন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন নারীরা। পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি কাজ নারীরা করে থাকেন। তারা অফিস করেন, বাসায় গিয়ে পারিবারিক কাজ করেন, সন্তানদের লালন পালনও করেন।

১৩ মার্চ, বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফিউচার: ইনভেস্ট ইন উইমেন টুয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নারীদের আনপেইড কেয়ার ওয়ার্কের কোনো মূল্যায়ন নেই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেটা হবে মানবিক। যেখানে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটবে। সেজন্য মায়েদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, নারীদের নলেজের দিকে তাকানো উচিত। এটি না হলে তার সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারবেন না। স্কুলের শিক্ষা বা সার্টিফিকেটের শিক্ষার কথা বলছি না। ফিন্যান্সিয়াল এমপাওরম্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিতে শিক্ষায় নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তারা ফিন্যান্সিয়ালি এমপাওয়ারড। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। সেই জায়গায় নারীদের এগিয়ে আনতে হবে। নারীদের টেকনোলজিক্যাল এমপাওয়ারড করা লাগবে।

তিনি বলেন, অনেক দেশ উন্নতি লাভ করেছে সেই উন্নয়নের সঙ্গে সমাজ বস্তুকেন্দ্রিক ও মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। আমরাতো এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে চাই না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই যা হবে মানবিক, মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিক উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে সবক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় নারী নেতৃত্ব বাড়ছে। দেশের ৬০ শতাংশ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নারী। সবদিক থেকেই শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা নারীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পিতৃতন্ত্র বিশ্বের সর্বত্রই আছে। এটা ভাংতে হলে আমাদের শেখ হাসিনার মতো আরও অনেক নেতা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, শক্তিশালী নারী নেতৃত্বের পেছনে এনজিওগুলোর অবদান নেই। একটা সময় সিনেমা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের যেখানে নানা নারী চরিত্রের কথা বলা হয়েছে। মহানগরে দেখা যায় শ্রমজীবী নারীর কত কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে। বেগম রোকেয়া লিখেছিলেন ‘সুলতানাস ড্রিম’।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নারীরা আনপেইড কাজের সঙ্গে বেশি যুক্ত। গবেষণায় দেখা যায় নারীরা ৫০ শতাংশ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুরুষদের অংশগ্রহণ নেই। শ্রমবাজারে বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪২ শতাংশ।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের সভাপতি নাসিম ফেরদৌস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, অভিনেত্রী শমি কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button