রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে চলতি আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে গেছেন বিরাট কোহলি। যদিও কোহলির এই সেঞ্চুরি নিয়ে সমালোচনা চলছেই।
ম্যাচে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ দিন বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির সুবাদে এত বড় স্কোর করে আরসিবি। তবে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে এই ম্য়াচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএলে রেকর্ডের হিসাবে এটি অবশ্য এই টুর্নামেন্টের ধীরতম সেঞ্চুরি। গতকাল ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেন কোহলি। যা মানিষ পান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে আইপিএলের মন্থরতম সেঞ্চুরি। ভারতীয় এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৭২ বলে ১১৩ রান করে। স্ট্রাইক রেট দেড়শর উপরে থাকলেও কোহলির ইনিংস নিয়ে সমালোচনা চলছে। কেননা পাঁচ বল বাকি থাকতে ম্যাচটি হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আইপিএলের মানদণ্ডে কোহলি যে ধীরগতির ইনিংস খেলছেন তা কিছুটা স্পষ্ট। এমনকি গতকালের সেঞ্চুরি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ৬৭ বলের এই সেঞ্চুরি যে আইপিএলে ইতিহাসেই সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে সবশেষ ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পান্ডে। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন। ২০১১ সালে শচীন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ২০২২ সালে জশ বাটলার তিন অঙ্কে যেতে খেলেছিলেন ৬৬ বল।
কোহলি নিজেও জানেন পরিস্থিতির কথা। তবে এমন সময়ে এসে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রতিই আস্থা রাখছেন তিনি, ‘বোলারেরা সব সময় চায় আমি যাতে শট খেলি এবং আউট হই। কিন্তু এত দিনে এটুকু অভিজ্ঞতা এবং পরিণত মানসিকতা আমার হয়েছে যাতে ওদের ভাবাতে পারি। আমি পরিবেশ এবং পিচ অনুযায়ী খেলি।’
অবশ্য, গতকাল যে পিচে খেলেছেন, সেই জয়পুরে খুব একটা ভাল রেকর্ড ছিল না কোহলির। উত্তরাঞ্চলীয় এই মাঠে গতকালের আগে কোহলির গড় ছিল ২২ এর নিচে। এমনকি এর আগে কেবল একবারই এই মাঠে আইপিএলে সেঞ্চুরি এসেছিল। ২০১৯ সালে আজিঙ্কা রাহানে দিল্লির বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৫ রানের ইনিংস।