সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি পণ্য খালাস শেষে দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দর ছেড়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল সাড় পাঁচটায় জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মিনা সাকর বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
ছয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে সেখানে পৌঁছে পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি আজ রোববার দেশের উদ্দেশে রওনা হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কেএসআরএম’র মিডিয়া কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের হাতে এক মাসেরও বেশি সময় জিম্মি থাকার পর মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা করেছে। আজ রোববার জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। জাহাজে করেই নাবিকরা দেশে ফিরবেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাবে।’
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।