ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেট প্রেমিদের উন্মাদনা ও প্রত্যাশা থাকে অনেক। আর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ জুন। আলোচনা না হওয়ার কারণ নেই। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীতা এই দুই দেশের মধ্যেই।
সেদিন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হবে। এদিকে সেই ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে বেশ আগে ভাগেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম চাপে থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। নিজেদের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখলে ও পরিশ্রম করলে সাফল্য পাবে পাকিস্তান– এমনটাই বিশ্বাস করেন অধিনায়ক বাবর।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে বাবর দাবি করেছেন যে, এবারের আমেরিকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ।
পডকাস্টে পাক অধিনায়ক ভারতের সঙ্গে ম্যাচের আগে বাড়তি স্নায়ুর চাপ সামলে নিজেদের চালকের আসনে রাখার কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘যেদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, সেই ম্যাচের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই স্নায়ুর চাপ বাড়বে। তবে আমাদের ফোকাস ধরে রাখতে হবে। মৌলিক বিষয়গুলোতে মনোযোগ ধরে রেখে সহজ স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে হবে। তবে যেকোনো টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে একটি চাপের ম্যাচ। তাই আপনি যত বেশি শান্ত থাকবেন, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারবেন । এ ধরণের চাপের ও হাইভোল্টেজ ম্যাচে আপনার দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’
এদিকে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের একটি বাড়টি উত্তেজনা উল্লেখ করে পিসিবির পডকাস্টে বাবর বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময়েই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। আপনি বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, এটি খুব বেশিই আলোচিত । খেলোয়াড়দের মধ্যেও আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রত্যেকেই তাদের দেশকে সমর্থন করে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনার পারদটা অন্য মাত্রায় পৌঁছায়।’ তবে পাকিস্তান অধিনায়ক দলের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখার এবং খেলায় মনোযোগ দেয়ার কথা বলেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তবে হারতে হয়েছে ৬ ম্যাচেই। ২০০৭ সালে প্রথম আসরের ফাইনালটাও ভারতের কাছেই হেরেছিল পাকিস্তান। অবশ্য ২০২২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরতে হয় তাদের। যদিও ম্যাচটি পাকিস্তানের জেতা উচিত ছিল বলেই মনে করেন তিনি।
আগামী ৬ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের মিশন শুরু করবে বাবর আজমের দল। আর ভারতের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে তার একদিন আগে।