রাজধানী ঢাকা ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আর এ ভূমিকম্পে ২০ শতাংশ বিল্ডিং ধ্বংস হতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
আজ বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
মহিববুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। বাংলাদেশে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। সারা বছরের ২৪ ঘণ্টাই দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কাজ থাকে। দুর্যোগ বলতে শুধুই বন্যা নয়, আগুন লাগতে পারে, পাহাড় ধ্বংস হতে পারে। তাই অবকাঠামো গুলো দুর্যোগ সহনীয় করে গড়ে তুলতে হবে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমরা যদি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই, তাহলে সমস্ত জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। বিশেষ করে আমাদের ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। যে কোন সময় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ২০ শতাংশ বিল্ডিং কোলাপস হয়ে যেতে পারে। ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ লোট আটকা পরতে পারে। অনেক লোকের মৃত্যুর সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
আট মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার যে তথ্য দিয়েছেন, সেটা কীসের ভিত্তিতে বলেছেন– জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
বজ্রপাত বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বজ্রপাত বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বজ্রপাত বিষয়ে ১৩০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট প্লানিং কমিশনে জমা দেয়া আছে। আশা করি এটা পাশ হলে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।