কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা দেশে ফিরেছেন। তবে তাদের সাথে ফিরেননি লিওনেল মেসি ও এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এদিকে তাদের দেশে ফেরাকে ঘিরে উৎসবের রং লেগেছে পুরো আর্জেন্টিনা জুড়ে। দেশটির এজেইজা বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষরা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। এসময় পুরো বিমানবন্দর এলাকায় যেন রঙিন হয়ে ওঠে।
বুয়েন্স আইরেসের স্থানীয় সময় রাত ১০টায় পৌঁছায় বিমান। দলের সঙ্গে দেশে ফিরেননি মেসি, মার্তিনেজ, নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, হুলিয়ান আলভারেজ ও জেরোনিমো রুলিকে রেখেই আর্জেন্টিনার বাকিরা দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ তিন খেলোয়াড় ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাথে যোগ দেবেন।
সবাই জানেন, মায়ামি বর্তমানে যুক্তরাষ্টের দ্বিতীয় বাড়ি। কারণ, সেখানেই খেলেন বিশ্বের সেরা তারকা। এ ছাড়া কয়েকজন মায়ামি থেকে পাড়ি জমাবেন প্যারিস অলিম্পিকে। সে জন্য পুরো দলকে নিয়ে ফিরতে পারেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি।
তাদের ফেরাকে ঘিরে দর্শকরা রাস্তায় নামেন। নীল পতাকা আর কনফেত্তিতে ছেয়ে যায় পুরো শহর। আতশ বাজির আলোড়ন আর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে যায় পুরো শহর। এত উৎসব আর আনন্দের মধ্যে দিয়েই কোপা আমেরিকার ট্রফি নিয়ে নিজ দেশের ভক্তদের কাছে ফিরে গেলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা।
দেশে যাওয়ার আগে দলকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা মায়ামিতে বসবাসরত সমর্থকদের জন্য জার্সিতে স্বাক্ষর করেন লিওনেল স্কালোনি। জাতীয় দলের কোচ ভক্তদের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছিলেন। এসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন স্কালোনি।
যেখানে তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচগুলো এভাবেই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত সহজ প্রতিপক্ষ নেই। কন্ডিশন কঠিন ছিল। আমাদের যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা সেভাবেই খেলেছি।’
দলের অধিনায়ক মেসির গোড়ালির ইনজুরির প্রসঙ্গও টেনে তিনি বলেন, ‘এত উদযাপনের পর আমি কথা বলিনি। আমি জানি তার হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আপনারা ছবিগুলো দেখেছেন। মচকে যাওয়ার মুহূর্তটাও কঠিন ছিল।’
দেশের ফেরার পর প্রথম যে ছবিটি প্রকাশ করা হয় সামাজিক মাধ্যমে, সেটা ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরে এসেছি।’