কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মূলত নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকা পড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক সুবিধা দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢুকে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এরই মধ্যে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। সংঘর্ষের সময় অনেক দুর্বৃত্তের হাতে অস্ত্র থাকার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এরা জামায়াত-শিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাওহীদের সদস্য। এরাই বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদ থেকে সড়কে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ ও র্যাব সূত্র বলেছে, সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদে, বারান্দা ও জানালায় যেসব গুলি ছোড়া হয়েছে, সেগুলো দুর্বৃত্তদের টার্গেট করা গুলি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যের গুলি কখনো কারো বাসা-বাড়ির ছাদে, বারান্দায় কিংবা জানালায় যেতে পারে না। এসব গুলি কারা ছুড়েছে তা খতিয়ে দেখছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ১৮ জুলাই গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও পরিচালিত হচ্ছে।
র্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনগণের জানমালের ক্ষতি ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধ করতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোনোভাবেই হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবাদী ছাত্র এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধ বা হয়রানি ছাড়াই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।