আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। বনের রাজা সিংহ হলেও আমাদের জাতীয় পশু কিন্তু বাঘ। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বসবাস বাংলাদেশে অবস্থিত পৃথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে।
আজ ২৯ জুলাই শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বাঘ দিবস। বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হলেও বাঘ টিকে আছে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশে বাঘের ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব দেশে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হয়।
সুন্দরবনের ভারসাম্য ধরে রাখতে সবার উপরে রয়েছে বাঘের ভূমিকা। সুন্দরবন ভ্রমণে এখন অনেক পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়ছে বাঘের ছবি।
এ বছর বাঘ দিবসের মূল আকর্ষণ ছিল বাঘ শুমারির ফল প্রকাশ। কিন্তু বাঘ গণনার ফল এ মাসে প্রকাশিত হচ্ছে না। তবে ফল প্রকাশ না করা হলেও সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
বাঘ গণনার ফল প্রকাশ না করতে পারার কারণ সম্পর্কে বন কর্মকর্তারা জানান, আন্দোলন ও কারফিউর কারণে সব কাজ শেষ করা যায়নি। সে জন্য আগামী মাসে ফল ঘোষণা করা হবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে শুমারি হয়। এ বছরের প্রথম দিকে বনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জেও একই পদ্ধতিতে শুমারি করা হয়েছে। ৪০ দিন ধরে প্রতিটি রেঞ্জের ১৪৫টি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এ ছাড়া সুন্দরবনে খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করা হয়। প্রায় চার মাস আগে শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বাঘের বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা দিনের পর দিন কমেই চলেছে। বহু জাতির বাঘ আজ বিলুপ্ত প্রায়। বিভিন্ন প্রজাতির বাঘকে অস্তিত্ব সঙ্কট থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়।
বাঘ এমন একটি প্রাণী যে তৃণভূমি, তুষারময় বন, ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সহ বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বেঁচে থাকতে পারে। বাঘ অন্য প্রাণীদের স্বীকার করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এত কঠিন অভিযোজন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ২০ শতকের শুরু থেকে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ অনুসারে, সারা বিশ্বে বাঘের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ৩ হাজার ৯০০, যা সত্যি উদ্বেগের বিষয়।