অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর পুরুষদের ক্রিকেটের বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে ২০২২ সালে নারী এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। ১১ বছর পর আরও একবার বাংলাদেশে হবে ২০২৭ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক।
প্রায় ১১ বছর আগে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। সেসময় টানা তিনবার এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অনেকটা সময় কেটে গেলেও আর দায়িত্ব পায়নি বিসিবি। এবার ২০২৭ এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল বিসিবি।
এশিয়া কাপের পরবর্তী দুই আসরের আয়োজক দেশ চূড়ান্ত হয়েছে। ২০২৫ সালে এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর আয়োজন করবে ভারত। ২০২৭ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। ২০২৭ এর আসর ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছিলো না এশিয়া কাপের আয়োজন। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে করেছিল শেষ এশিয়া কাপ। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবার ফিরবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ২০২৫ সালে ভারতের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে এসিসি। উদ্দেশ্য পরের বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। একই নিয়ম মেনেই ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একই বছরের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এশিয়া কাপের পরই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় বসবে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর।
ফরম্যাটে অবশ্য কোনো পরিবর্তন আসছে না। দুই আসরেই থাকবে ১৩ টি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা– এশিয়ার এই পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সাথে যুক্ত হবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি দল। ৬ টি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে প্রতিটি দল খেলবে দুটি করে ম্যাচ। এরপর দুই গ্রুপের সেরা দুই দল নিয়ে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সুপার ফোর। দুই ধাপে ৬ টি করে মোট ১২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সুপার ফোরের সেরা দুই দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
৬ষ্ঠ বারের মতো বাংলাদেশে হবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই। ১৭তম এই আসরের আগে আরো পাঁচবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলো লাল-সবুজরা। ১৯৮৮ সালে তৃতীয় আয়োজক হিসেবে আবির্ভাব হয় বাংলাদেশের। ১ যুগের বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ বসে বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের দুটি আসরে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই সুযোগ লুফে নিতে মরিয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।