বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সাবেক পিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পেয়েছেন।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সব মামলায় জামিন পেয়েছেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। মামলাগুলোতে যে সাজা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। যে কারণে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই। ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়। ২০১৩ সালে এক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন।
এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২০২২ সালের ২১ জুন ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়ান স্পিনিং মিলসের মালিকরা ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জামানত ছাড়াই ঋণপত্র খোলেন। শর্ত না মেনে এলটিআর সৃষ্টি করে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬১২ টাকার যন্ত্রপাতি আমদানি করেন। তবে পরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
কারামুক্ত তারেকের সাবেক এপিএস অপু: তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। গতকাল তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এতে ছয় বছর সাত মাস কারাগারে থাকার পর তিনি কারামুক্ত হলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, দুটি মামলায় আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তিনি কারামুক্ত হয়েছেন।