মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। সম্পদের দিক থেকে তিনি জেফ বেজোস ও বার্নার্ড আরনল্টকে ছাড়িয়ে গেছেন। বর্তমানে তার থেকে বেশি সম্পদ রয়েছে শুধু ইলন মাস্কের (২৫৬ বিলিয়ন ডলার)। খবর: সিএনএন।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০৬ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জাকারবার্গের সম্পদ ৭৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য শুধু তিনজন-ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ এবং জেফ বেজোস। জাকারবার্গ ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন।
তার অনেক সম্পদ মেটা প্ল্যাটফর্মগুলোর বিভিন্ন শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত। ২০২৪ সালে মেটার শেয়ার মূল্য ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মেটার শেয়ার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯৫ দশমিক ৯৪ ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
জাকারবার্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবটের জন্য লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো শক্তিশালী করেছে আর তাতেই দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) মেটার শেয়ার বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। ডেটা সেন্টার ও কম্পিউটিং ক্ষমতায় ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে মেটা। কারণ এআই খাতের প্রতিযোগিতায় সামনের দিকে থাকার চেষ্টা করছেন। কোম্পানিটি অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পেও এগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘ওরিয়ন’ নামের অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) চশমা। এই চশমা গত মাসে উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি।
মেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো পরিচালনা করে।
জাকারবার্গ ২৫ সেপ্টেম্বর মেটা কানেক্ট ২০২৪ ইভেন্টে বলেন, মেটা এআই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত সহযোগী হতে চলেছে। আমাদের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী (মাসিক) রয়েছে।
২০২২ সালের শেষের দিকে মেটা ২১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল। সেসময় খরচ কমানোর জন্য একটি পরিকল্পনা চালু গ্রহণ করেন মার্ক জাকারবার্গ। বিনিয়োগকারীদের মতে, এই পরিকল্পনা কোম্পানিকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছে।
চলতি বছর জাকারবার্গের মতো প্রযুক্তি জগতের আরও কয়েকজন উদ্যোক্তা এবং সিইওর সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের সম্পত্তি ৬৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৫৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।